#my_strange_husband🕊 || ᴘᴀʀᴛ-01 || বাসর রাতে ১২হাত কাপড়ে ১৩হাত ঘোমটা দিয়ে ফুলে সজ্জিত বিছানায় বসে আছে Y/n । মনের মধ্যে হাজারো ভয় বাসা বাঁধছে। কারন ও শ্যামবর্নের। আর ওর বর সে Y/nর একে বারে বিপরীত। যেমন সূদর্শন ঠিক তেমনই বিচক্ষন। যদিও এগুলো অন্যদের কাছ থেকে শোনা। কারন Y/n এখনো ওর বরকে দেখেনি ওর বাবা ছবি এনেছিলেন কিন্তু Y/n চায়নি বিয়েটা করতে। Y/n ভাবছে কাল পর্যন্ত সে তার বাবার আদরের মেয়ে ছিলো আর আজ সে অন্য একটা অচেনা অজানা পরিবারের সদস্য। Y/n এর মা খুব ছোট থাকতেই মারা যায়। বাবাই ওর কাছে সবকিছু। এবার সে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে উঠেছে। পড়াশোনায় মোটামুটি ভালোই। ওর ইচ্ছা ছিলো পড়াশুনা করে অনেক বড় হবে। তবে বাবার অবস্থা তেমন স্বচ্ছল না। হয়তো এই কারনে তার জীবন সংসার এবং চার দেয়ালের মাঝে আটকে গেলো। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দরজার খট করে শব্দ হয়। Y/nকে Y/nর নানু শিখিয়ে দিয়েছেন। স্বামী আসলে যেন প্রথমেই তাকে সালাম করে আর স্বামীর প্রতিটা কথা মেনে চলে। Y/n উঠে তার স্বামীকে সালাম করতে গেলো। পায়ে হাত দিতে গেলেই লোকটা কিছুটা দূরে সরে দাড়ালো। তারপর গম্ভীর গলায় বলল, Jk : তোমার মতো শ্যামলা একটা মেয়েকে আমি কখনোই নিজের বউ হিসাবে মেনে নিতে পারব না। বিয়েটা আমি আমার মায়ের কথাতে করেছি। তাই আমার কাছ থেকে কিছু আশা করো না। Y/n চুপ করে ফ্লোরে বসে কাঁদতে লাগলো। ও জানতো লোকটা এমন কিছুই বলবে। আজ Y/nর নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। কি হবে ওর? বিয়েটা করে একটা মানুষের গোছানো জীবন কি এলোমেলো করে দিলো Y/n? লোকটা আবার বলে উঠলো, Jk : তুমি এখানে থাকো আমি বাইরে যাচ্ছি ঘুমাতে। এবার Y/nর বুক ফেটে কান্না আসছে,কেন সবসময় ওর সাথেই এমন হয়। কেন কেউ ভালোবাসতে পারে না ওকে? ওর গায়ের রংটাই কি সবার কাছে সবকিছু? এদিকে Jk ওর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সবে মাত্র ঘরের দরজা খুলে ঘরে ঢুকলো। তারপর দরজা আটকে দিলো। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ আসছে খাট থেকে। Jk খানিকটা অবাক হয়ে খাটের দিকে চেয়ে থাকে। তারপর ধীরে ধীরে খাটের দিকে এগিয়ে যায়। তারপর শীতল কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে, Jk : কাঁদছো কেন Y/n? মন খারাপ? Y/n এবার জোরে কেঁদে দেয়। তারপর তোতলাতে তোতলাতে বলে উঠল, Y/n : যখন নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেননি তাহলে সিমপ্যাথি দেখাতেও হবে না। আমি এমনি কাঁদছি। আপনার কথা শুনে আমার একটুও কষ্ট হয়নি। ঠিকই তো বলেছেন আপনি। Y/n ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে করতে কথাটি বলল। Jk অসহায় দৃষ্টিতে Y/nর দিকে তাকালো। তারপর পরও ভ্রু কুচকে জিজ্ঞাসা করলো, Jk : কি বলেছি আমি। আর তুমি জানো না বাসর রাতে বরকে সালাম করতে হয়? Y/n নাক ডলতে ডলতে উত্তর দিলো, Y/n : সালাম করতেই তো গিয়েছিলাম আপনিই তো বললেন বউ হিসাবে আমাকে মানেন না। Jk এবার বুঝতে পারলো যে Y/n কেন কাঁদছে, ভয়ে এবং অতিরিক্ত চিন্তার কারনে Y/n আগে থেকেই অনেককিছু কল্পনা করে ফেলেছে যার মধ্যে এটা একটা। Jk এর খুব জোর হাসি পাচ্ছে পিচ্চি মেয়ে কল্পনা করে সেটা এতো দূর টেনে ফেললো। তারপর মজা করার জন্য গম্ভির স্বরে বললো, Jk : এখন এসে সালাম করো। তখন কি বলেছি সেটা ভুলে যাও। আমাকে সালাম করে গিয়ে চেন্জ করে ওজু করবে তারপর আবার ঘোমটা দিয়েই আমার সামনে আসবে। নাহলে কিন্তু বাড়ি থেকে বের করে দিবো। Y/n ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করলো, Y/n : চেন্জ করে কি পড়বো? Jk হুংকার দিয়ে বলে উঠলো, Jk : Jeon Jungkook এর বউয়ের মুখে এমন কথা শোভা পায় না। কাবার্ডে গিয়ে দেখো কি আছে। ওখান থেকেই একটাকিছু পড়ে আসো। Y/n চুপচাপ কাবার্ড খুললো তারপর একটা লিনেন এর নীল থ্রিপিচ বের করে Jk এর সামনে এনে ধরলো, Y/n : এটা পড়বো? Jk : যা খুশি পড়ো। আর তাড়াতাড়ি ওজু করে আসো নামায কালাম নাই নাকি? বাবার বাড়ির মতো এখানেও সারাদিন ঘুরঘুর করে বেড়ালে হবে। Jk ঠোঁট চেপে হাসছে আর Y/nকে কথা শোনাচ্ছে। বেচারা Y/n ঘোমটা দিয়ে আছে বলে কিছু বুঝতেই পারছে না। Y/n আবার ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে তারপর কাঁপাকাঁপা গলায় বলে, Y/n : সরি। মাফ করে দিবেন। পরবর্তীতে আর কোনো ভুল হবে না। বলেই Jkকে সালাম করে ওয়াসরুমে ঢুকে শাওয়ার নিতে লাগলো। এদিকে Jk পাঞ্জাবি পায়জামা খুলে ট্রাউজার আর টি-শার্ট পড়ে নিলো। তারপর ল্যাপ্টপ অন করে কিছু ডিল তার পিএ কে বুঝিয়ে দিলো। ১ঘন্টা হয়ে গেছে Y/n এখনো বের হচ্ছে না। আর কেন বের হচ্ছেনা সেটা Jk খুব ভালো করেই জানে। তাই দরজার লক খুলে ও নিজেই ভেতরে ঢুকে যায়। গিয়ে দেখে Y/n এর গায়ে শাড়ি পেচিয়ে আছে গয়না সহ গোসল করতে গিয়ে ওর এই হাল। Y/n এতোক্ষন নিচে তাকিয়ে কোমরের বিছা খুলছিলো। হঠাৎ সামনে Jk কে দেখে ওর অবস্থা বেহাল। Y/n : একি আপনি এখানে কি করছেন? Jk : গোসল করতে বলেছি আমি? শুধু শাড়ি চেন্জ করতে বলেছিলাম। এখন যদি তোমার ঠান্ডা লাগে? আর অসুস্থ হয়ে যাও তখন? To be continued... #ffbts #btsff #jungkookff #jungkookffstory #btsarmy #fanboy_ayaan_x6x9 #fanboyayaan
video valo lagle copy link kore diyen 🤍 #jungkook #fanboyayaan #fanboy_ayaan_x6x9 #btsarmy #fypviralシ #foryoupage #fyppppppppppppppppppppppp #viral #jeonjungkook #foryou @AbjkMRstY @틱톡 TikTok Korea
#my_strange_husband🕊 || ᴘᴀʀᴛ-07 || রিমিকা : Y/n কাঁদছিস কেন মা? মাথা ব্যাথা করছে? আমাকে বল? Y/n : জানো আমি ভেবেছিলাম আমার শাশুড়ি আম্মুও সিয়িয়ালের মতো ভিলেন টাইপের হবে। আমাকে দিয়ে বেশি বেশি কাজ করাবে, গরম খুন্তির ছ্যাকা দিবে,ঝাড়ু দিয়ে পিটাবে। ছেলের কাছে মিথ্যা নালিশ করবে। কিন্তু তুমি? তুমি সবার চেয়ে আলাদা। আমাকে কত্তো ভালোবাসো। আচ্ছা তুমি কি এ বাড়ির সবার সাথেই এমন ভাবে কথা বলো? রিমিকা : কেমন ভাবে? Y/n : এই যে এতোক্ষন যা যা বললে। রিমিকা : ওহ। মুচকি হেসে উত্তর দিতে লাগলেন। রিমিকা : জানিস আমি মেডিকেলের স্টুডেন্ট। বলতে গেলে কলেজের বেস্ট স্টুডেন্ট ছিলাম। কিন্তু বিয়ের চক্করে পড়ে আমার লেখাপড়াটাই বাদ হয়ে গেলো। যেহেতু আমি ডাক্তারি পড়েছি তাই সব বিষয়েই আমি জানি। আর আমি এবং রায়হান আমরা দুজন রশনি আর Jk এর শুধু বাবা-মা নই বন্ধুও। তাই সব বিষয়েই খোলামেলা কথা বলতে পারি। কিছুদিন পর তুইও পারবি। এখন এসব বাদ দিয়ে খেয়ে নে। রিমিকা Y/nকে খাইয়ে দিচ্ছে। Y/n খাচ্ছে আর এটা সেটা প্রশ্ন করেই যাচ্ছে। রিমিকাও Y/nর সব উত্তর দিচ্ছে কিন্তু একটা প্রশ্ন এড়িয়ে গেলো সেটা হলো কেন রিমিকার পড়া হলো না। বিয়ে নিয়ে কি এমন হয়েছিলো। Y/n খাওয়া শেষে রশনির ঘরে গেলো। Y/n : আপু আসবো? রশনি : আরে Y/n ভাবি আসো। আজ থেকে তো তুমি আমার রুমে শিফট হচ্ছো তাইনা? Y/n : হুম। আচ্ছা তুমি আমাকে ভাবি বলো কেন? নাম ধরেই তো ডাকতে পারো। আমি তো তোমার ছোট। রশনি : হ্যাঁ পারি কিন্তু ডাকবো না। কেন জানো? কারন আমি আমার ভাইয়াকে সম্মান করি ভালোবাসি। হয়তো তুমি বয়সে আমার চেয়ে ছোট কিন্তু সম্পর্কে এবং সম্মানে আমার চেয়ে একটু হলেও বড়। আর বড় ভাইয়ার বউ ছোট হলেও তার নাম ধরে ডাকার শিক্ষা আম্মু আমাকে দেয় নি। ভবিষ্যৎ এ যদি দেয় তাহলে অবশ্যই ডাকবো। তবে হ্যাঁ তোমাকে আমি অন্য একটা নামেও ডাকতে পারি। Y/n : কি নাম? রশনি : পিচ্চি ভাবি। সুন্দর না? কাল কিন্তু দেরি করে কলেজে যাবো তাই আগে থেকে রেডি হওয়ার প্রয়োজন নেই। Y/n : কেন কাল কলেজে কি? রশনি : ভাইয়ার দুই বছরের টিচার লাইফ সেলিব্রেট করবে স্টুডেন্টসরা। Y/n : তোমার ভাইয়ার স্যার হওয়ার বয়স ২বছর? কম বয়সে চাকরি পেলো কিভাবে? রশনি : ভাইয়ার বয়স ২৮ বছর। তোমার চেয়ে ১১ বছরের বড় ভাইয়া। কম বয়স হলো নাকি? বয়স শুনে Y/n মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো। Y/n : শেষে কিনা আব্বু বুড়োর সাথে বিয়ে দিলো। আগেই জানতাম বড়লোকরা বুড়ো হয়। তবে তোমার ভাইয়াকে দেখে তো ২১-২২ বছরের ছেলে মনে হয়। রশনি : সবারই এমন মনে হয়। কলেজের চকলেট স্যার। Y/n : চকলেট স্যার মানে? উনি কি কলেজে চকলেট বিতরণ করেন? রশনি : চকলেট বয় চিনো? কুল, ড্যাসিং, হ্যান্ডসাম, গুড লুকিং। যেহেতু ভাইয়া স্যার সেজন্য চকলেট স্যার। Y/n : ভারি মজার তো। রশনি : হুম। আচ্ছা তুমি কখনো প্রেম করেছো? Y/n : না। তুমি করেছো? রশনি : এখনো করি। কলেজে চলো তোমার সাথে আলাপ করিয়ে দিবো নিঝুমের। Y/n : তোমার প্রেমিক মেয়ে? তুমি মেয়েদের সাথে প্রেম করো? হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাচ্ছে Y/n। রশনি : প্রথমে আমিও ভাবছি ওটা মেয়ে। পরে জানতে পারি নিঝুম ছেলে মেয়ে উভয়ের নাম হয়। এভাবেই রাত ১১টা পর্যন্ত আড্ডা দেওয়ার পর Jk এর কল আসে রশনি ফোনে। রশনি : কি গো ভাইয়া এতো রাতে আমাকে কল করলা? Jk : ভুলে গেছিস কাল কি? ১১:৫০ এ Y/nকে নিয়ে ছাদে আসবি। রশনি : ওহ হো ভুলেই গেছিলাম। কাল তো পিচ্চি ভাবির জন্মদিন। তুমি চিন্তা করো না আমি ঠিক নিয়ে আসবো। তুমি শুধু এরেন্জমেন্টটা ঠিক করে করো। Jk : ও কোথায়? রশনি : ওয়াসরুমে ব্রাশ করতে গেছে। পিচ্চি ভাবি দুবেলা ব্রাশ করে। Jk : ঠিক আছে রাখছি এখন তুই ঠিক টাইমে চলে আসিস। ঘড়ির কাটা ১১টা বেজে ৪৫। রশনি জোর করে Y/n এর চোখ কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে দিলো। তারপর সবার আড়ালে আস্তে আস্তে সিড়ি বেয়ে Y/nকে নিয়ে ছাদে চলে আসে। Y/n বারবার রশনিকে প্রশ্ন করছে যে রশনি কেন Y/nকে এভাবে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো উত্তরই পায়নি। অবশেষে Y/nর চোখ খুলে দেওয়া হলো। Y/n চোখ খুলে তাকিয়ে একটা ঘুটঘুটে অন্ধকারাচ্ছন্ন ছাদ আবিষ্কার করলো। ওদিকে রশনি Y/nকে পৌছে দিয়েই নিচে চলে যায়। তাই Y/n রশনিকে খোজার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। Y/n অনুভব করতে লাগলো ওর পেছনে কেউ একজন দাড়িয়ে আছে আর সে ক্রমশ Y/n এর দিকে এগিয়ে আসছে। Y/n ভয়ে দেওয়ালের সাথে মিশে যেতে চাইলেই, Y/n নিজের পেটে কারোর হাতের ছোঁয়া পেলো। শিউরে উঠলো ও। ভয়ে চোখ বন্ধ করে আয়তাল কুরছি পড়া শুরু করলো। Jk : ভয় পেয়ো না আমি। এদিকে আসো। Y/n এর পেটে হাত দিয়েই নিজের কাছে টেনে নিলো Jk। Y/n এর চুলগুলো বাঁধা ছিলো ক্লিপ দিয়ে সেই ক্লিপটাও খুলে দিলো। Y/n এর পিঠ জুরে ছড়িয়ে পড়লো একরাশ কালো চুল। চুলগুলো Y/n এর বাম সাইডের ঘাড়ের ওপর রেখে ডান সাইডে নিজের থুতনি রাখলো Jk। Jk : ভয় করছে এখনো? To be continued... copy link pls id freeze 💔😅
edit to ekhono shuru e korini just id ta unfreeze korr dw then dekhabo edit kake bole 😼 #viral #foryou #fyppppppppppppppppppppppp #foryoupage #fypviralシ #btsarmy #fanboy_ayaan_x6x9 #fanboyayaan #jungkookedit @AbjkMRstY @틱톡 TikTok Korea
#my_strange_husband🕊 || ᴘᴀʀᴛ-03 || Jk এর কোনো কথাই Y/nর কানে যাচ্ছে না। Y/n Jk এর বুকে শুয়ে Jk এর হার্টবিট শুনছে। Jk এর শরীর থেকে একটা আলাদা মাতাল করা ঘ্রান পাচ্ছে Y/n। নিজের অজান্তেই Y/nর ঠোটের কোণে হাসি ফুঁটে ওঠে। Jkর বেড আয়না বরাবর হওয়ায় Jk আয়নায় Y/nকে দেখতে পাচ্ছে। Y/n মুচকি মুচকি হাসছে দেখে Jk এর বুকের ভেতর মোচর দিয়ে উঠছে। ওরও ইচ্ছে করছে এই মিষ্টি মেয়েটাকে নিজের করে পেতে। তবে এখনো সে সময় হয়নি। Y/nকে ওর সব স্বপ্ন পূরন করতে হবে। একজন বড় হার্ট সার্জন হতে হবে। তাই নিজেকে Y/n এর থেকে দূরে রেখে Y/n এর স্বপ্নকে ওর কাছে তুলে দিতে হবে। Jk : Y/n এবার ঘুমাও। কাল অনেক কাজ আছে। Y/n : হুম। Jk : আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। Y/n : হুম। Y/n হুম হুম করছে দেখে Jk Y/nর দিকে তাকায়। ঘুমিয়ে গেছে। Jkও Y/nকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে পাড়ি জমায় ঘুমের রাজ্যে। [ সকাল ৭টায় ] Jk এর ঘুম ভাঙ্গে Y/nর ডাকে। Y/n চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বিছানার সামনে দাড়িয়ে আছে। তারপর আস্তে আস্তে Jkকে ডাকছে। Y/n : শুনছেন ? উঠুন সকাল হয়ে গেছে। ৭টা বাজে এতো বেলা করে কেউ ঘুমায় ? উঠুন। Jk আড়মোরা ভেঙে চোখ কচলে Y/nর দিকে তাকায়। Y/nর হাত কাঁপছে সেই সাথে হাতে থাকা চায়ের কাপটাও। Jk : ভয় পাচ্ছো কেন? তোমাকে কি আমি কাল বকেছি নাকি মেরেছি কোনটা? Y/n : না মানে আপনারা বোধ হয় অনেক বেলা করে ঘুমান ১০-১১ টা পর্যন্ত তাইনা? আর আমি আপনাকে ডেকে আপনার ঘুম নষ্ট করে দিলাম। Jk : আমি কফি খাই। নিমিষে Y/nর মুখটা কালো হয়ে গেলো। ও তো কফি বানাতে পারে না। Jk : ঠিক আছে কোনো ব্যাপার না কফির চেয়ে চা ই ভালো। দাও। Y/n হাসি মুখে চায়ের কাপটা দিলো। তারপর বলল, Y/n : আমি কি এখন গোসল করবো? Jk : তোমার ইচ্ছা। Y/n : তাহলে আপনিও গোসল করে নিন। আমি আগে রান্নাটা সেরে ফেলি। Jk : আমি গোসল করবো কেন? ( ভ্রু কুচঁকে জিগ্যেস করল ) Y/n : ওমা আপনি জানেন না ? বিয়ের পরের দিন খুব ভোরে গোসল করতে হয় স্বামী-স্ত্রীর। এতোক্ষনে Jk গোসলের মানে বুঝলো। Jk প্রথমে ভেবেছিলো Y/nর ভোরে গোসল করার অভ্যাস এখন দেখছে বাসরের জন্য গোসল করতে বলছে। Jk এবার জোরে জোরে হেসে দেয়। Y/n হাসি দেখে চোখ ছোট ছোট করে ফেলে। তারপর বলে, Y/n : হাসছেন কেন? Jk : তুমি এবার কোন ক্লাসে পড়ো? Y/n : ক্লাস না কলেজ। কলেজে উঠেছি আমি। সাইন্স নিয়ে বৃত্তি পেয়েছি। Jk : স্বামীস্ত্রীর সম্পর্কে পাঠ্য বইএ কি কিছুই নেই? কিছুই জানো না নাকি? Y/n : জানি তো সাইন্সের চ্যাপ্টারে সবই তো আছে। বলেই জিভে কামড় দিলো Y/n। ইশশ কি রকমের লজ্জা। Jk চা খেয়ে হাসতে হাসতে বাথরুমে ঢুকে গেলো। Y/nও নিচে চলে আসে। রান্নাঘরে Y/nর শাশুড়িআম্মু আর ননদ রান্না করছে। Y/n গিয়ে রান্নাঘরের এক কোণে দাড়ালো। অমনি রশনি ( Y/nর ননদ) বলে উঠলো, রশনি : কি ভাবি রাতে ঘুম কেমন হলো? আদৌ ঘুমোতে পেরেছো তো? রিমিকা (শাশুড়ি) : রশনি Y/n আমার চেয়েও আগে উঠেছে, চা বানিয়ে আমাদের রুমে গিয়ে দিয়ে এসেছে। তুই বরং দেরিতে উঠেছিস। রশনি : আমার পড়া ছিলো আম্মু। কিন্তু Y/nie ভাবি তুমি বলো রাতে কি হয়েছে। Y/n : ইয়ে মানে। রান্না কতদূর? রশনি : কথা এড়িয়ে গেলে? যাক সেটা বিষয় না। রান্না করতে এসে দেখি আম্মু অলরেডি পরটা করে ফেলেছে, মাংস রান্নার জন্য ঝাল খুজছি। Y/n : কেন রান্না তোমরা করো না? রশনি : না বুয়ারা করে। কিন্তু ঈদের জন্য সবাইকে ছুটি দিয়েছে আম্মু। এমন সময় রিমিকা ( Y/nর শাশুড়ি) বলে উঠলো, রিমিকা : Y/n মা তুই গিয়ে পড়তে বস। এদিকটা আমি দেখে নিচ্ছি। আর রশনি তুইও যা তোর কলেজে নাকি আজ এক্সট্রা ক্লাস আছে। Y/n লাফিয়ে উঠে বললো, Y/n : আম্মু আমিও কলেজে যাবো। Y/nর লাফ দেখে সবাই জোরে জোরে হেসে দিলো। তারপর রশনি Y/nর দিকে এগিয়ে এসে Y/nর কাধে হাত রেখে বললো, রশনি : তোমাকে ভাইয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজে এডমিশন করিয়ে দিবে। তোমার ইচ্ছা ছিলো না ? বড় হার্ট সার্জন হবে। Y/n : না আপু আমি আর মেডিকেলে পড়বো না। আমি হিউম্যানিটিস নিয়ে পড়বো। রিমিকা : সেকি কেন? Y/n : আম্মু আমি রক্ত ভয় পাই। আসলে ছোট থেকেই রক্ত দেখলে গা শিউরে উঠতো, মাথা ব্যাথা করতো। আমি ভাবতাম দূর্বলতার কারনে এমন হয়। কিন্তু বোর্ড পরিক্ষার কিছুদিন আগে আমাদের স্কুলের সামনে একটা খুন হয়। ওটা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার ম্যাডাম আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় আর ডাক্তার বলে আমার ব্লাড ফোবিয়া। ছোট থাকতে যদি ভয় ভাঙানো যেতো তাহলে হয়তো সমস্যা হতো না। কিন্তু এখন সমস্যা হবে। আর ডাক্তার হলে তো হাত কাটতে হবে, বুক কাটতে হবে, নাড়িভুঁড়ি দেখতে হবে। রিমিকা : ঠিক আছে Jkকে আমি বলে দিবো যেন তোকে রশনির কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়। তাছাড়া Jk কিন্তু ওই কলেজেরই টিচার। রশনি : তাহলে তো খুব ভালো হবে আম্মু। আমি আর Y/n একসাথে যাবো, আসবো। To be continued... ....valo lagle kichu copy link koiren🤍 #viral #btsff #fyppppppppppppppppppppppp #btsarmy #foryoupage #fypviralシ #fanboy_ayaan_x6x9 #fanboyayaan #jungkookffstory #jungkookedit
#my_strange_husband🕊 || ᴘᴀʀᴛ-09 || Y/n : আপনি খাবেন না? Jk : হুম খাবো তো। বলেই Y/n এর গালে লেগে থাকা আইসক্রিমের অংশটুকু খেয়ে নিলো। Jk এর জিব্হা Y/n এর গাল স্পর্শ করা মাত্র Y/n টেবিলের ওপর থাকা Jk এর হাত চেপে ধরে। Jk এবার ইচ্ছা করে Y/n এর গালে জিব্হা দিয়ে লেহন করতে শুরু করে। অবশেষে ঠোঁটে ঠোঁট স্পর্শ করে বলে, Jk : এটা হলো পৃথিবির সর্বশ্রেষ্ঠ আইসক্রিম। আমি তোমার মতো নরমাল আইসক্রিম খাইনা Y/n পাখি। Y/n চোখ বড়বড় করে Jk এর দিকে তাকিয়ে আছে। Jk আবার বলে উঠলো, Jk : ওভাবে তাকিয়ো না তাহলে আম্মুর কথা রাখতে পারবো না। কন্ট্রোললেস হয়ে যাবো। তখন কিন্তু আমার দোষ দিতে পারবে না। Y/n লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিলো। Jkকে আগে কখনো এতো কথা বলতে দেখেনি Y/n। সবসময় চুপচাপ আর রাগি লুক নিয়ে থাকে। আর আজ? Jk Y/nকে চুপ করে থাকতে দেখে আবার বললো, Jk : পৃথিবির সমস্ত লজ্জা আর ভয় কি আল্লাহ তোমার মধ্যে দিয়েছে? সেই কখন থেকে আমি কথা বলছি আর তুমি? চুপ করে বসে আছো। আমার সাথে কথা বললে কি কোনো সমস্যা হবে? আনইজি ফিল করছো। তাহলে আমি চলে যাচ্ছি। Y/n : নাহ। Jk : তাহলে তুমি চাচ্ছো যে আমি এখানে থাকি? Y/n : হুম। ( মাথা নিচু করে বললো।) Jk Y/n এর হাতে হাত রেখে বললো, Jk : তোমার স্বামী আমি। তোমার সবকিছু দেখার অধিকার আছে আমার। Y/n : মানে? ভয় সাথে উত্তেজিত হয়ে ভ্রু কুচকে জিজ্ঞাসা করলো Y/n। Jk : না মানে। তোমার সবকিছু জানার অধিকার আছে। Y/n : কি? Jk : আরে খারাপ ভাবে নিচ্ছো কেন? আমি তোমার সম্পর্কে জানতে চেয়েছি,তোমার ইচ্ছা, ভালো লাগা, খারাপ লাগা,পছন্দ, অপছন্দ। Y/n : ওহহ। আমার তেমন বিশেষ কোনো কিছু নেই। আমি সব পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি। Jk : তাহলে আমাকে মেনে নিতে এতো হেজিটেশন কেন? কারন কি? Y/n : সত্যিই বলবো? Jk : আমি কি মিথ্যা শুনতে চেয়েছি? Y/n : আসলে ভয় লাগে। আপনি অলঅয়েজ রাগি রাগি লুক নিয়ে থাকেন তাই ভেবেছি। Jk : ভয় কে জয় করতে শেখোনি? যেদিন শিখবে সেদিনই তোমার কাছে আসবো আমি। তার আগে না। গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো যাও। Y/n : আপনি সবসময় আমার সাথে এমনই করেন। প্রথমে ব্যাথা দিয়ে পরে মলম লাগান। একটুও ভালো না আপনি খুব পঁচা। পঁচা আপনি। Jk : যাও। ( চিৎকার দিয়ে বললো ) Y/n কষ্টে আর ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে নিচে চলে যায়। Jk উঠে ছাদের কর্ণারে এসে দাড়িয়ে আকাশের দিকে চেয়ে থাকে। চোখ বেয়ে নোনাপানি গড়িয়ে পড়ছে। Jk : তুমি এমন কেন করো Y/n? আমি আর আমার সবকিছুই তো তোমার তবুও কেন এতো সংশয় ? কেন বউ এর দাবি নিয়ে আমার সামনে আসতে পারো না? কেন সবসময় আমার থেকে দূরে থাকতে চাও। তোমার শ্যাম বর্ণের চেহারা আর তোমার পরিবার নিয়ে তো আমার কোনো আপত্তি নেই। তাহলে আমাকে ভালোবেসেও আমার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখো কেন? এবার তুমি নিজে আমার কাছে আসবে এটা Jeon Jungkook এর প্রমিস। তুমি নিজে আসবে বউ এর দাবি নিয়ে,অধিকার ফলাবে আমার ওপর,আমার চেহারার ভাষা না,চোখের ভাষা বোঝার চেষ্টা করবে। যেদিন আমার মনের ভাষা বুঝতে পারবে সেদিন বুঝবে এই মনের সবটা জুরে আছে শুধু Y/n। Jk এর Y/n। কবে আমার মনের গহিনে পৌছাবে Y/n পাখি ? অপেক্ষা করবো তোমার জন্য। জানি তুমি ঠিক আসবেই। [ পরদিন সকালে ] আজ দেরিতে ঘুম ভাঙ্গে Y/n এর। সকাল ৮টা কলেজ ৯টায় সেজন্য Y/n প্রথমেই ফ্রেস হয়ে নিজের ব্যাগ গুছিয়ে নেয়। তারপর নিচে নামে। নিচে Jk, রশনি রেডি হয়ে বসে আছে। Jk একবার Y/n এর দিকে তাকালো। সাথে সাথে ওর বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো। Y/n এর চোখমুখ ফুলে গেছে কান্নার জন্য। চোখের নিচটা কালো হয়ে গেছে।হয়তো রাতে ঠিক ঠাক ঘুম হয়নি। তবুও নিজেকে সংযত করে উঠে গেলো Jk। রশনি বলে উঠলো, রশনি : কোথায় যাচ্ছো ভাইয়া? আমাদের নিয়ে যাবে না? Jk : তোরা বড় হয়েছিস রশনি। একা একা পথ চলতে শেখ। কলেজে কাজ আছে তাই আমি আগেই চলে যাচ্ছি তোরা তোদের মতো আয়। চলে গেলো Jk। Y/n বুঝতে পারলো যে তার জন্যই Jk এমন করেছে তাই ও রশনিকে বললো, Y/n : আপু সাড়ে ৮টা বাজে। চলো কলেজে চলে যাই। নাহলে দেরি হয়ে যাবে। রশনি : কোনো দেরি হবে না তুমি বসে খেয়ে নাও। না খেয়ে যাওয়া যাবে না। Y/n : এখন খেতে ইচ্ছে করছে না। প্লিজ জোর করো না। পরে নাহয় খেয়ে নিবো। তোমাদের কলেজে তো ক্যান্টিন আছেই। চিন্তা করো না। Y/n এর কথা শুনে রশনির মনও শান্ত হয়। তাই ওরা ডিরেক্ট কলেজে চলে আসে। Y/nকে নামিয়ে দিয়ে রশনি গাড়ি পার্ক করতে যায়। রশনি : পিচ্চি ভাবি তুমি দাড়াও আমি গাড়ি রেখে আসি। কোথাও যেও না ঠিক আছে? Y/n : ঠিক আছে আপু। রোদ থেকে সরে Y/n একটা গাছের ছাঁয়ার নিচে দাড়ায়। আপাতত এখানে কেউ নেই। কিন্তু মিনিট পাঁচেকের মধ্যে প্রায় ১০জন এসে হাজির ৪টা মেয়ে ৬টা ছেলে। ওদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে ওরা বড়লোকের বখে যাওয়া ছেলে মেয়ে। পরনে জিন্স + গেঞ্জি। ছেলে মেয়ে উভয়ের ভ্রু কাটা আর ভ্রুর ওপর ছোট্ট রিং জাতীয় কিছু ঝুলছে,ছেলেগুলোর গালে সিগারেট আর মেয়েগুলোর হাতে দেশলাই। To be continued...
#my_strange_husband🕊 || ᴘᴀʀᴛ-10 || ছেলেগুলোর গালে সিগারেট আর মেয়েগুলোর হাতে দেশলাই। একটা ছেলে বলে উঠলো, ছেলে ১ : কি নতুন নাকি? Y/n : জ্বী ভাইয়া? ছেলে ২ : নাম কি? Y/n : Y/nn। ছেলে ১ : তোমার ওরনা টা দাও। Y/n : কি? ( অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো ) ছেলে ২ : বলেছি তোমার ওরনা দাও। আজ ওরনা ছাড়াই কলেজে ঘুরবে এটা রাগিং। Y/n : না। ছেলে ১ : তোর এতো বড় সাহস সিনিওরদের মুখের ওপর না বলিস? শিমলা ওর ওরনাটা কেড়ে নে তো। একটা মেয়ে এসে ওরনাটা টান দিয়ে কেড়ে নিলো। Y/n ঝট করে দুহাত দিয়ে বুক ঢেকে ফেললো। তারপর কেঁদে কেঁদে অনুনয় করতে লাগলো, Y/n : প্লিজ আপু ওরনাটা দিয়ে দিন। আমি তো আপনাদের সাথে কিছু করিনি। তাহলে আমার সাথে এমন করছেন কেন? শিমলা : এই দেখ তোরা বাচ্চা মেয়েটা কাঁদছে। Y/n নিজের চোখের পানি মুছে সোজা হয়ে দাড়ালো। কাধ থেকে ব্যাগটা নিচে নামিয়ে শক্ত গলায় বললো, Y/n : লাস্ট বারের মতো বলছি ওরনা টা দিন। নাহলে যা হবে তার জন্য আপনারা দায়ী থাকবেন। আমি না। আরেকটা ছেলে বলে উঠলো, ছেলে ৩ : খুকুমনি দেখি হুমকি দিতেও জানে তো কি করবে মামনি? যা খুশি করতে পারো,তবুও ওরনাটা আমি দিবো না। Y/n : তোর ওরনা তুই রাখ। ওই দেখ সিসি ক্যামেরা আমি এখন প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে গিয়ে সব বলছি। ছেলে ২ : প্রিন্সিপাল আমার মামা। Y/n : ওহ তাহলে আমি তোর আম্মা। বলেই Y/n এলোপাথারি চ*র দিতে লাগলো ছেলেটাকে। বাকি পাঁচজন কাছে আসতেই পা ছুড়ে লাথি দিতে লাগলো। আচমকা আক্রমণে ছেলেগুলো কিছু বুঝে উঠতে পারলো না। নিজেদের রক্ষা করতেই ব্যস্ত হয়ে গেলো। Y/n এবার নিজের ব্যাগ থেকে গুড়ো হজমি বের করলো। তারপর মেয়েগুলোর মুখের দিকে ছুড়ে দিলো। মেয়েগুলোর চোখে হজমির গুড়া যেতেই ওরা চিল্লিয়ে উঠলো। দুইটা ছেলে Y/n এর হাত ধরে ওকে টাইট করে ধরে ফেললো। তারপর বললো, ছেলে ১ : এবার কোথায় যাবি? Y/n : কোথাও না। বিকজ আমি ক্যারাটে জানি। বলেই হাত প্যাচ দিয়ে ঘুরে ছেলেগুলোর সামনে দাড়িয়ে পরলো। তারপর ওরনা কেড়ে নিয়ে গলায় ঝুলিয়ে হাতের চুরি ঠিক করে নিলো। Y/n : তোরা গুন্ডামি করার যোগ্যতা রাখলে, আমি তোদের মতো গুন্ডা জন্ম দেওয়ার যোগ্যতা রাখি। নেক্সট টাইম আমাকে দূর্বল ভেবে ভুল করবি না। মনে রাখিস Y/n এসে গেছে কলেজে। যদি দেখেছি না কোনো মেয়ের পেছনে লেগেছিস। হাত পা ভেঙ্গে রেখে দিবো। আজ ট্রেইলারটা দেখিয়ে গেলাম। শো আভি বাকি হ্যা মেরি দোস্ত। Y/n নিজের ব্যাগ নিয়ে রশনির দিকে এগিয়ে গেলো। টিসু দিয়ে মুখ মুছে নিলো কিন্তু ছেলেগুলোর সাথে হাতাহাতিতে, ইটের সাথে পা লেগে পা অনেকটা কেটে গেছে। রক্ত বের হচ্ছে। রশনি Y/nকে এভাবে দেখে দৌড়ে ওর কাছে আসলো, রশনি : পিচ্চি ভাবি কি হয়েছে তোমার? Y/n : ইয়ে মানে রাস্তায় স্লিপ খেয়ে পড়ে গেছি। এক্টু কেটে গেছে। চিন্তা করো না আপু ঠিক হয়ে যাবে। রশনি : ভাইয়ার কেবিনে চলো। ওখানে ফার্স্টএইড বক্স আছে। তোমার তো রক্ত সহ্য হয়না তুমি চলো। Y/n : এখন ওনার রুমে গেলে উনি বিরক্ত হবেন। আর এখন থেকে তো নিজেকে শক্ত করতে হবে। কেন যে হিউম্যানিটিস নিলাম। মেডিকেল এডমিশন কালই অফ হয়ে গেলো ধু*র। (মনে মনে) Y/n : না আমি যাবো না। আমি রুমাল পেচিয়ে রাখছি। রশনি : কোনো কথা শোনো না তুমি। তোমাকে নিয়ে আর আসবো না। এরপর থেকে ভাইয়ার সাথে আসবা। রশনি রেগে চলে গেলো। Y/nও খোড়াতে খোড়াতে ক্লাস রুম খুজে ক্লাস রুমে গিয়ে বসলো। প্রথম পিরিয়ড শুরু হয়ে গেছে। Y/n খুব সুন্দর ভাবেই ক্লাস এটেন্ড করছে। বেশ কিছু বন্ধুও বানিয়ে ফেলেছে এই আধা ঘন্টায়। হঠাৎ Jk রুমের বাইরে এসে থেমে গেলো। নিয়ন স্যার বলে উঠলো, নিয়ন : "আরে Jungkook তুমি? তোমার ক্লাস শুরু হতে তো আরো দেড় ঘন্টা বাকি। Jk : স্যার Y/nকে একটু আমার কেবিনে পাঠিয়ে দিবেন। ইট্স আর্জেন্ট। নিয়ন : ওকে তুমি যাও আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি ওকে। Jk আর এক মুহূর্তও দাড়ালো না। নিয়ন স্যার Y/nকে Jk এর কেবিনে যেতে বললো। Y/n উঠে আল্লাহর নাম নিতে নিতে এগোচ্ছে কারন Jkকে দেখে এইটুকু তো বুঝে গেছে যে ও ভীষন আকারে ক্ষেপে আছে, Y/n : আল্লাহই জানে সাদা যমরাজটা কেন ডাকছে। রাগ দেখে মনে হলো আমি ওনার খাদ্য, আর উনি হিংস্র শিকারি, আমাকে শিকার করতে এসেছেন। আমি ওনার কোন বাড়া ভাতে ছাই ঢেলেছি একমাত্র উনিই জানেন। আল্লাহ এবারের মতো বাঁচিয়ে দাও আমাকে। Y/n কেবিনের দরজা খুলে ঢুকতেই Jk বলে উঠলো, Jk : স্যারদের কেবিনে নক করে ঢুকতে হয়। এই মিনিমাম সেন্সটুকুও তোমার জানা নেই দেখছি। Y/n : সরি স্যার। Jk : সরি বলে কি লাভ? বের হয়ে যাও। Y/n : আপনিই তো বললেন আসতে। আবার চলে যেতে বলছেন কেন? অনেকটা রেগে বললো কারন পায়ে ব্যাথায় পা নাড়াতেই পারছে না আর ইনি ১৪বার হাটাচ্ছেন। Jk : বাইরে গিয়ে আবার নক করে ভেতরে আসো। Y/n : আজব তো? একবার এসেছি তো। আর রিপিট করতে পারবো না। Jk : না পারলে বেত দিয়ে পিটিয়ে সোজা করে দিবো তোমাকে। যাওওও। চারপাশে বেতের সমাহার। এতো বেত দেখে Y/n এর মুখ ভয়ে চুপসে গেলো। To be continued...